
হজ্বের মতো একটা পবিত্র ইবাদতকেও ব্যবসার বস্তু বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। দাড়ি টুপি পরা নামধারী যেসব হুজুর আওয়ামী লীগের নির্লজ্জ গোলামী করতো, তাদের গুণগান গাইতো, জনগণের টাকায় শুধুমাত্র তাদেরকেই হজ্বে পাঠাতো আওয়ামী সরকার। হুজুরদের এই দলটি ওলামা লীগ নামে পরিচিত। আজকে লীগ না থাকায় সেই ওলামারা অসহায় হয়ে পড়েছে। চলতি বছর ড. আফম খালিদ হোসেনের ধর্ম মন্ত্রণালয় হজের ক্ষেত্রে যুগান্তকারি সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে জনগণের টাকায় দলীয় লোকদের হজ্ব করানোর এই প্রথা চলতি বছর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষত গত কয়েক বছর হজ্বের খরচ অস্বাভাবিক আকারে বেড়ে গিয়েছিল, গত দুই বছর যা জনপ্রতি প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকায় পৌছে গিয়েছিল। এত বিশাল খরচে দলীয় লোকদের হজ্বে পাঠাতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল অর্থ ব্যয় হতো। এবার সেই
জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারীকে মালোশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে— এমন একটি সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তিনি নিরাপদে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারলেও এই ঘটনার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অন্যরকম এক তথ্য। মিজানুর রহমান আজহারীকে বিমানবন্দরে আটকের নামে হয়রানি করার পেছনে মালয়েশিয়ার ভারতীয় বংশোদ্ভূত তামিল পুলিশদের হাতে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু আজহারী নন, বিভিন্ন সময়ে মুসলিম প্রবাসী এবং টুরিস্টদের সাথে মালয়েশিয়ার তামিল পুলিশের হয়রানি কমন ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মালয়েশিয়ার সাথে ভারতের দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর দূরত্ব খুব একটা নয়। মাঝখানে শুধু বঙ্গোপসাগর। ৭০-৮০-৯০ এর দশকে বহু ভারতীয় তামিল উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়া গমন করে। দীর্ঘদিন সেখানে বসবাসের ফলে ধীরে ধীরে তারা মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব লাভ করে। এরপর তাদের একটি বড় অংশ মালয়েশিয়ার পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। বলাবাহুল্য, মালয়েশিয়া
চোর তো জীবনে আপনি অনেক দেখেছেন, এমনকি আওয়ামী লীগের গরু চোর ছাগল চোরও দেখেছেন। কিন্তু আজকে আমরা পরিচয় করিয়ে দিব এমন এক ডিজিটাল চোরের সাথে, যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বানানোর কথা বলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আগাগোড়া লুটপাট করেছেন। মিডিয়ার সামনে এই লোকটিকে দেখে শান্তশিষ্ট মনে হলেও বাস্তবে তিনি আপাদমস্তকও এক চোর। তিনি যেহেতু আইসিটি প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, অপরদিকে সজীব ওয়াজেদ জয় তার মায়ের পক্ষ থেকে আইসিটি উপদেষ্টা হয়েছিল, ফলে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এবং আইসিটি উপদেষ্টা দুজনে লুটপাটের ক্ষেত্রে একটি সমঝোতায় এসেছিলেন। যেটাকে প্রবাদে বলা হয় চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাইনবোর্ড দেখিয়ে আওয়ামী সরকার বিলিয়ন ডলারের যেসব প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল, সবগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছিল জয় এবং পলকের হাতে। সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমের প্রত্যেকটা প্লাটফর্ম থেকে এরা নিজস্ব সমঝোতার মাধ্যমে লুটের টাকা ভাগাভাগি করেছেন। এদের যৌথ চৌর্যবৃত্তির
মালদ্বীপের পর এবার কানাডা থেকেও ঘাড় ধরে বের করে দেয়া হচ্ছে ভারতীয়দের। খালিস্তানি নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জারকে হত্যা করে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী কানাডায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে, যার প্রেক্ষিতে সেখানে দায়িত্বরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সহ অন্তত ৬ জনকে সরাসরি বহিস্কার করেছে কানাডা সরকার। একই সাথে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে ভারতীয় দূতাবাসের চার কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে রয়্যাল কানাডিয়ান পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ভারতীয় সরকারকে দোষী করে নজিরবিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় গোয়েন্দারা কানাডার একজন নাগরিককে কানাডার মাটিতে এসে হত্যা করেছে। এই ভয়াবহ অপরাধের জন্য তাদেরকে চূড়ান্ত শাস্তি পেতে হবে। বিশ্ব মহলে বিভিন্ন গোয়েন্দা অপারেশন চালাতে গিয়ে ভারত বার বার ঠোকর খেলেও তাদের যেন লজ্জা হয়নি, তাই তো বিড়াল হয়ে্ও বার বার বাঘ সাজতে গিয়ে
ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মত লাফাতে থাকা এই ব্যক্তি ভারতীয় একটি টেলিভিশনের সাংবাদিক। যাদের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়ানো। বাংলার ছাত্র-জনতা দেড় দশক ধরে মানুষের ঘাড়ে চেপে থাকা নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে যে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে, তাতে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ বাহবা দিলেও ব্যতিক্রম শুধ বন্ধুদেশ ভারতের মিডিয়াগুলোর ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের জনগণের এই অভাবনীয় সাফল্যের ব্যাপারে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ আর বাজে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে নিজেদের টিআরপি বাড়ানোই যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য। রিপাবলিক বাংলা এবং টিভি নাইনের মত শীর্ষ বেশকিছু ভারতীয় মিডিয়ার নিউজ ঘেটে দেখা গেছে, ভারতেই সংঘটিত হওয়া বিভিন্ন ঘটনাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখানো হচ্ছে । ক্রিকেটার এবং অবৈধ সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তাজার বাড়িতে আগুন দেয়ার দৃশ্যকে হিন্দু ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি হিসেবে প্রচার করে রীতিমত
পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নিয়ে উত্তাল রাজনীতির ময়দান। মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি চুপ্পু বলেছেন যে শেখ হাসিনার কোন পদত্যাগ পত্র তার কাছে নেই। অথচ পাঁচ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি দুই কথার মধ্যে যেকোনো একটি মিথ্যা বলেছেন এবং এই মিথ্যা বলার কারনে তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কাজেই শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র আছে কি নেই ,সেটার আগে চুপ্পুকে চেয়ার থেকে সরানো আবশ্যক হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, পদত্যাগ পত্রের প্রয়োজন হয় কোন কিছুর নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। কিন্তু এদেশের ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে গণবিপ্লব এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। দেশের সমস্ত মানুষের বিপ্লব এবং অভ্যুত্থানের সামনে পদত্যাগ পত্রের বাধ্যবাধকতার কোন
ভারতের আগরতলায় রাজনৈতিক সমাবেশের ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ এবং সেখান থেকে প্রবাসী সরকার গঠনের জন্য চলছে ঘৃণ্য পরিকল্পনা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দুই সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ এবং হাসানাত আব্দুল্লাহর সূত্রে বিষয়টি নিয়ে বিবিসি বাংলা বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে হাসানাত আব্দুল্লাহ এবং নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত আরেকটি সমাবেশ থেকে আবদুল হান্নান মাসুদ চাঞ্চল্যকর এই কথা প্রকাশ করেছেন। সূত্র মতে– আওয়ামী লীগের যেসব পলাতক নেতাকর্মী ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে, তারা সবাই আগরতলায় সমবেত হওয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের পূর্ব দিকে অবস্থিত কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরায় এখন বিজেপি শাসন চলছে। তাদের ছত্রছায়ায় সেখানে অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনা নিজে বক্তব্য রাখতে পারেন মর্মে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার ছেলে
ইসরাইলকে শায়েস্তা করতে রকেট, ড্রোন, মিসাইল সহ বিভিন্ন আত্নঘাতী হামলার জন্য হিজবুল্লাহ বেশ আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী আলোচিত। এরই ধারাবাহিকতায় এবার
বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে এক নতুন উত্তেজনা। ইউক্রেনকে শায়েস্তা করতে রাশিয়ায় পৌঁছেছে উত্তর কোরিয়ার ১২,০০০ কমান্ডো। প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন দীর্ঘদিন ধরে
ইসরাইলের সাথে ধুন্ধুমার লড়াই দেখলে আপনার মনে হবে ইরানের চেয়ে ভালো আর কেউ নেই। আবার ইরাক-সিরিয়ায় ইরানের গণহত্যার ফিরিস্তি শুনলে
মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক রোর্ডমার্চ ———————————— ইসলাম ধর্ম এবং বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মুম্বাই অভিমুখে বিশাল পদযাত্রা করেছে অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। মাওলানা
বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া যে পক্ষপাতের দোষে চরমভাবে দুষ্ট, তার চাক্ষুস উদাহরণ হচ্ছে— এরা এখনও শায়খ আহমাদুল্লাহকে ঠিকমতো এপ্রিসিয়েট করতে পারছে না। এবারের বন্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের
লেভেল-৫, আল-আকসা ভবন, বসুমতি বাজার, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা আই-ব্লক সংলগ্ন, ভাটারা, ঢাকা-১২১২।
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ই-মেইল: mbanews24@gmail.com
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: মোবাইল 01618-675689
Development By Webghoor