হজ্বের মতো একটা পবিত্র ইবাদতকেও ব্যবসার বস্তু বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। দাড়ি টুপি পরা নামধারী যেসব হুজুর আওয়ামী লীগের নির্লজ্জ গোলামী করতো, তাদের গুণগান গাইতো, জনগণের টাকায় শুধুমাত্র তাদেরকেই হজ্বে পাঠাতো আওয়ামী সরকার। হুজুরদের এই দলটি ওলামা লীগ নামে পরিচিত। আজকে লীগ না থাকায় সেই ওলামারা অসহায় হয়ে পড়েছে।
চলতি বছর ড. আফম খালিদ হোসেনের ধর্ম মন্ত্রণালয় হজের ক্ষেত্রে যুগান্তকারি সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে জনগণের টাকায় দলীয় লোকদের হজ্ব করানোর এই প্রথা চলতি বছর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষত গত কয়েক বছর হজ্বের খরচ অস্বাভাবিক আকারে বেড়ে গিয়েছিল, গত দুই বছর যা জনপ্রতি প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকায় পৌছে গিয়েছিল। এত বিশাল খরচে দলীয় লোকদের হজ্বে পাঠাতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল অর্থ ব্যয় হতো। এবার সেই প্রথা বন্ধ করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আফম খালেদ হোসাইন এবং তার ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এদিকে এবছর সরকারি খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে না পাঠানো সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, মাওলানা আজহারীর সেই পোস্টে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন লাইকের পাশাপাশি ১৮ হাজারের মতো কমেন্ট পড়েছে, এরা সবাই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ একদিকে দেশ ও জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করতো, অপরদিকে দলটির প্রধান মাঝে মাঝে মাথায় হিজাব, হাতে তাসবীহ নিয়ে মক্কা শরীফ চক্কর দিতেন। একই সাথে রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করে দলীয় লোকদের হজে পাঠাতেন। এগুলো সবই ছিল জনগণকে বোকা বানিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার কলাকৌশল। আওয়ামী লীগ নিজেদের সুবিধা আদায়ের জন্য এত দিকে হাত বাড়িয়েছে যে, হজের মত ফরজ একটা এবাদতকেও তারা অপরাজনীতির অংশ বানিয়েছে। কাজেই ূূূদেরকে ধর্মব্যবসায়ী না বলে খোদ আওয়ামী লীগকেই ধর্ম ব্যবসায়ী বলা উচিত। কারণ তারাই ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজকে দলীয় ব্যবসার বস্তুতে পরিণত করেছিল।
তাহসান সিদ্দীক,এমবিএ টাইম্স