১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ রবিবার
টপ হেডলাইন
🔴৬ নং ক্লাস ২৫ অক্টোবর ২০২৪🔴মেয়র আতিকুল ইসলা🔴🔴আজহারীকে হয়রানি করার পিছনে মালয়েশিয়ার তামিল পুলিশ?🔴ইসরাইলি সেনাঘাটিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা🔴মেজর বজলুল হুদাকে জবাই করে হত্যা🔴ক্ষমতার গন্ধ পেতে না পেতেই শুরু হয়ে গেছে বিএনপির চাঁদাবাজি।🔴লেবাননকে গাজা ভাবলে ভুল করবে ইসরাইল!🔴মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক রোর্ডমার্চ🔴ভারত : বাংলাদেশে বাঘ, অন্যদেশে বেড়াল🔴মাজার ফাইনাল🔴উপজাতীরা কি আদিবাসী?🔴শায়খ আহমাদুল্লাহ🔴ইরান : দ্বিমুখী চরিত্রের এক দেশ🔴ডিজিটাল চোর জুনায়েদ আহমদ পলক🔴রাষ্ট্রপতির কাছে নেই হাসিনার পদত্যাগপত্র🔴খালেদ মাশাল🔴হারদ্বীপ সিং নিজ্জার🔴ওমান একটি শীর্ষ বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে,🔴ভারতের আগরতলায় রাজনৈতিক সমাবেশের ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ

মাজার ফাইনাল

মাজারে হামলা করা বা না করা নিয়ে আলোচনা উঠলেও আড়ালে থেকে যাচ্ছে এদের ভন্ডামি আর অপকর্মের কাহিনী। দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাজারগুলো মানুষের ঈমান আমলকে উইপোকার মত ভেতর থেকে খেয়ে ফেলেছে। আজকে আমরা এসব মাজার ব্যবসায়ীদের এমন সব কুকীর্তির কথা তুলে ধরব যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় উভয় আইনে বড় রকমের অপরাধ।

ভণ্ড পীরদের সবচেয়ে বড় অ্যাম্বাসেডার হচ্ছে দেওয়ানবাগের পীর সৈয়দ মাহবুব। মতিঝিলে আব্দুল গফুর নামের এক নিরীহ লোকের জমি দখল করে সে উটের খামার করেছে। নিজেকে খোদা দাবি করেছে, এমনকি হযরত ফাতেমাকে রাঃ নিজের স্ত্রী দাবি করতেও সে দ্বিধাবোধ করেনি।
একারণেই মানুষ হিন্দুদের প্রতি কোমল হলেও মাজারের প্রতি এত মারমুখী। কারণ হিন্দুরা ধোঁকাবাজি না করে নিজেদের ধর্ম নিজেরা পালন করে। কিন্তু মাজার পূজারীরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে মানুষকে ধোকা দেয় এবং ইসলামের নামে এমন সব অপকর্ম করে বেড়ায়, যেগুলো করলে কেউ কোনোভাবেই মুসলিম থাকতে পারে না।

ইসলামে পরিষ্কারভাবে বলা আছে– আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করলে সাথে সাথে কাফের হয়ে যাবে। অথচ বাংলাদেশের বছরের পর বছর ধরে মাজারে এবং সেখানকার ভণ্ড পীরকে সিজদা করা হয়।

ইসলামে নাচ-গান এবং বাদ্যযন্ত্র সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ বাংলাদেশের মাজারগুলোতে পীর বাবার নাম ব্যবহার করে রাতভর অশ্লীল নাচ-গান এবং গাঁজার আসর চলতে থাকে।
বিশেষ করে দেওয়ানবাগী নিজেকে খোদা এবং হযরত ফাতেমাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছে। এত জঘন্য অপকর্মের পরেও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সে নিজের সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল।

রাষ্ট্রীয় অপরাধের দিক থেকে চিন্তা করলে– বাংলাদেশের মাজারগুলোতে ব্যাপকহারে গাঁজা সেবন করা সাধারণ একটা ঘটনা। অথচ 2018 সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের 36(4) ধারা অনুযায়ী— গাজা সেবনের শাস্তি হিসেবে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

মাজারগুলোর আরেকটি ভয়াবহ অপরাধ হচ্ছে দেহ ব্যবসা। ভণ্ড বাবাদের নাম করে এত জঘন্য অসামাজিক কার্যক্রম মাজারগুলোতে হয়ে থাকে যা দেশের সামাজিক সুস্থতার জন্য বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মাজারের এই সমস্ত ভন্ডরা নবীর নামে দুরুদ পড়ে শিন্নি খেয়ে বেড়ায়, অথচ সেই নবীজির নামে যখন নাস্তিকেরা আশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে, তখন এরা গাঁজা খেয়ে মাতাল হয়ে মাজারে পড়ে থাকে।

এছাড়া এদেশের মাজারগুলোতে হাতুড়ে চিকিৎসার নামে বিভিন্ন রকম ভেলকিবাজি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। কেউ মহিলা রোগীদের পশ্চাৎ দেশে থাপ্পড় দিয়ে রোগ ভালো করে দিচ্ছে, কেউ মাথায় ঝাড়ুর বাড়ি দিয়ে জ্বীনের আসর দূর করছে, কেউবা আবার অদ্ভুত সব ভঙ্গিতে রোগ তাড়ানোর চেষ্টা করছে।

সব মিলিয়ে এদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাজারগুলো থেকে উন্নতির কিছু তো নেই, বরং মানুষকে বেঈমান-মুরতাদ বানানো এবং অসামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের নৈতিক অবক্ষয় ঘটানোর কারণে এসব মাজার এক একটা ভাইরাসে পরিণত হয়েছে। খুব দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমে এসব ভাইরাস অপসারণ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো নাজুক আকার ধারণ করবে।

আরিফুর রহমান আযাদ
এমবিএ টাইমস, ডেস্ক রিপোর্ট

এ জাতীয় আরো খবর

মাজার ফাইনাল

মাজারে হামলা করা বা না করা নিয়ে আলোচনা উঠলেও আড়ালে থেকে যাচ্ছে এদের ভন্ডামি আর অপকর্মের কাহিনী। দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা