এবার ভয়াবহ স্পর্শকাতর অভিযোগ পাওয়া গেল পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি নিজে জেলখানায় ঢুকে মেজর বজলুল হুদাকে জবাই করে হত্যা করেছেন। একজন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী কিভাবে রাতের আঁধারে জেলখানায় ঢুকে একজন ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করতে পারেন— এটি সবার কাছেই অবিশ্বাস্য ব্যাপার মনে হয়েছিল; যদিও এই কথাটি ২০১০ সাল থেকেই বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল। তবে এবার হাসিনার পতনের পর মেজর বজলুল হুদার ভাই নুরুল হুদা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়ার পর বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
….
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট যেসব সেনা কর্মকর্তা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মেজর বজলুল হুদা; যিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে সরাসরি গুলি করেছিলেন। এই অপরাধে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি মেজর বজলুল হুদা সহ কারাগারে থাকা পাঁচজন ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার একটি ধারাবর্ণনা থেকে জানা যায়, সেই রাতে ফাঁসি কার্যকরের কিছুক্ষণ আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। সে সময় দুটো কালো পাজেরো গাড়ি কারাগারে প্রবেশ করে, যার একটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে মঞ্চে নিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানো হলেও মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসির সেখানে আনাই হয়নি। তাকে ভিন্ন একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তিনি যেহেতু শেখ মুজিবকে সরাসরি গুলি করেছিলেন, এই কারণে তার কাছ থেকে শেখ হাসিনা সরাসরি প্রতিশোধ নিতে কারাগারে হাজির হয়েছিলেন।
ঘটনার বিবরণী থেকে জানা যায়, গরুকে জবাইয়ের সময় যেভাবে চেপে ধরা হয়, ঠিক সেভাবে চারজন ব্যক্তি মেজর হুদাকে চেপে ধরে। এরপর শেখ হাসিনা তার বুকে পা রেখে জল্লাদকে ছুরি চালানোর আদেশ দেন। জবাইয়ের সময় মেজর বজলুল হুদার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে যেই রক্ত ছিটকে বেরিয়েছে, তাতে শেখ হাসিনার পরনের শাড়িও কিছুটা রক্তাক্ত হয়েছিল।
হত্যার পর মেজর বজলুল হুদার লাশ দাফনের জন্য নিজ এলাকায় পাঠানো হয়। সেসময় ধারণ করা ভিডিওতে তার গলার নিচে পরিষ্কারভাবে কাটার এবং সেলাইয়ের দাগ দেখা গেছে। সার্জারি বিশেষজ্ঞ বেশ কয়েকজন ডাক্তার ভিডিওটি দেখে মন্তব্য করেছেন, এটা কোনভাবেই ফাঁসির কিংবা পোস্টমর্টেমর দাগ নয়। বরং এখানে সেলাই করা হয়েছে। তাদের এই মূল্যায়নের সাথে জবাই সংক্রান্ত সেই বিখ্যাত লেখা এবং বজলুল হুদার ভাই নুরুল হুদার বক্তব্য মিলে যায় যে— মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসিতে নয়, বরং জবাই করে হত্যা করা হয়েছে এবং এতে শেখ হাসিনা সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভিন্ন দিক থেকে উঠে আসা এসব দাবি ও তথ্যপ্রমাণ যদি সত্য হয় তাহলে শেখ হাসিনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনেও ভয়াবহ পর্যায়ের মানবতা বিরোধী
অপরাধ। এমতাবস্থায় বিভিন্ন মহল থেকে মেজর বজলুল হুদার মৃত্যুর বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি হচ্ছে। এবং তদন্তে সেই ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে শাস্তির মুখোমুখি করারও দাবি জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমের অজস্র মানুষ।
https://telegra.ph/Killer-Hasina-08-16?fbclid=IwY2xjawEtKiNleHRuA2FlbQIxMAABHaqRIj3WRV9e_owOt2CLCDGnMI647bu5QReRaYOWyig4_G9o_hvb9_syYw_aem_jZq-zwiHdcLiD2cOIVe_0A