বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে এক নতুন উত্তেজনা। ইউক্রেনকে শায়েস্তা করতে রাশিয়ায় পৌঁছেছে উত্তর কোরিয়ার ১২,০০০ কমান্ডো। প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের যে হুমকি দিয়ে আসছিলেন, এবার সেই হুমকি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বহুদিনের মিত্র পুতিনকে সহায়তা করতে রাশিয়ায় সৈন্য মোতায়েন করে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন কিম।
রাশিয়ায় উত্তর কোরীয় সৈন্যদের অবস্থানের চাঞ্চল্যকর সংবাদ সর্বপ্রথম সামনে আনে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বাহিনী। এরপরেই টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায় : রাশিয়ার একটি সেনাক্যাম্পে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা সারি বেধে রাশিয়ান ইউনিফর্ম এবং যুদ্ধসামগ্রী গ্রহণ করছে। উত্তর কোরিয়ার এই কমান্ডো বাহিনী অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং বিশেষ সামরিক দক্ষতা সম্পন্ন বলে জানা গেছে। তারা মূলত গেরিলা যুদ্ধ, স্নাইপার অপারেশন, এবং বিশেষ মিশনে পারদর্শী। এই বাহিনীর যোগদান ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ-পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে আরো বেশি রাশিয়ার অনুকূলে নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বাহিনীর প্রকাশিত স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়া জাহাজে করে সহস্রাধিক শিপিং কন্টেইনার পাঠিয়েছে, যেখানে কামানের শেল, রকেট, এন্টি ট্যাংক মিসাইল, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে বলে সিউলের স্পাই এজেন্সি জানিয়েছে। এসব অস্ত্র সহকারে উত্তর কোরিয়ার চারটি বিগ্রেডের মোট ১২ হাজার কমান্ডোকে কয়েক ধাপে ইউক্রেনের ভেতরের যুদ্ধাঞ্চলে মোতায়েন করা হচ্ছে।
ইউক্রেন আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিল যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। এবার সরাসরি কমান্ডো সৈন্যরা যোগ দেয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে আমেরিকা, ন্যাটোসহ পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও পশ্চিমা বিশ্বের এই সমস্ত হুমকির চার আনার আনারও মূল্য নেই উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উনের কাছে। সৈন্য মোতায়েনের ঘটনায় পশ্চিমারা যদি সত্যিকার অর্থেই উত্তর কোরিয়ায় হামলা করে, তাহলে কিম জন উন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে দিতেও হয়তো সামান্য দ্বিধা করবেন না।
মামনুন বিন মাসউদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এমবিএ টাইমস