১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শুক্রবার
টপ হেডলাইন
🔴৬ নং ক্লাস ২৫ অক্টোবর ২০২৪🔴মেয়র আতিকুল ইসলা🔴🔴আজহারীকে হয়রানি করার পিছনে মালয়েশিয়ার তামিল পুলিশ?🔴ইসরাইলি সেনাঘাটিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা🔴মেজর বজলুল হুদাকে জবাই করে হত্যা🔴ক্ষমতার গন্ধ পেতে না পেতেই শুরু হয়ে গেছে বিএনপির চাঁদাবাজি।🔴লেবাননকে গাজা ভাবলে ভুল করবে ইসরাইল!🔴মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক রোর্ডমার্চ🔴ভারত : বাংলাদেশে বাঘ, অন্যদেশে বেড়াল🔴মাজার ফাইনাল🔴উপজাতীরা কি আদিবাসী?🔴শায়খ আহমাদুল্লাহ🔴ইরান : দ্বিমুখী চরিত্রের এক দেশ🔴ডিজিটাল চোর জুনায়েদ আহমদ পলক🔴রাষ্ট্রপতির কাছে নেই হাসিনার পদত্যাগপত্র🔴খালেদ মাশাল🔴হারদ্বীপ সিং নিজ্জার🔴ওমান একটি শীর্ষ বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে,🔴ভারতের আগরতলায় রাজনৈতিক সমাবেশের ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ

রাষ্ট্রপতির কাছে নেই হাসিনার পদত্যাগপত্র

পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নিয়ে উত্তাল রাজনীতির ময়দান। মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি চুপ্পু বলেছেন যে শেখ হাসিনার কোন পদত্যাগ পত্র তার কাছে নেই। অথচ পাঁচ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি দুই কথার মধ্যে যেকোনো একটি মিথ্যা বলেছেন এবং এই মিথ্যা বলার কারনে তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কাজেই শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র আছে কি নেই ,সেটার আগে চুপ্পুকে চেয়ার থেকে সরানো আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, পদত্যাগ পত্রের প্রয়োজন হয় কোন কিছুর নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। কিন্তু এদেশের ক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে গণবিপ্লব এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। দেশের সমস্ত মানুষের বিপ্লব এবং অভ্যুত্থানের সামনে পদত্যাগ পত্রের বাধ্যবাধকতার কোন মূল্য নেই। বিপ্লবের মুখে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং জনসমর্থন নিয়ে বিপ্লবকারীরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন— এটাই প্রধান বিষয়। এক্ষেত্রে সংবিধান থেকে শুরু করে যা কিছুই এই বিপ্লবের অন্তরায় হবে— সেক্ষেত্রে বিপ্লবকে বহাল রেখে এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করতে হবে; যার সূচনা হবে রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণ এর মধ্য দিয়ে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু, তার আগে আব্দুল হামিদসহ যারাই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, এরা মূলত প্রথমে আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি হয়েছেন। এরপর দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তাদেরকে রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসানো হয়েছে। দলীয় এসব রাষ্ট্রপতির একমাত্র কাজ ছিল ক্ষমতার চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের সমস্ত অপরাধের দায়মুক্তি দেয়া। দেশব্যাপী খুন হত্যা করে আওয়ামী লীগের লোকেরা যখন মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি পেত, তখন দয়ার সাগর এসব রাষ্ট্রপতি তাদেরকে প্রাণভিক্ষা দিয়ে দিত। কাজেই যেখানে আওয়ামী লীগের নির্বাচন এবং তাদের সরকার গঠনই অবৈধ, সেখানে তাদের নিয়োগ দেয়া রাষ্ট্রপতি আরো আগেই অবৈধ। সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতি কে যেখানে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করানো হয়েছে, সেখানে তাদের সবচেয়ে বড় দোসর চুপ্পুকে এখনো কেন রাখা হল সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। দায়িত্বের জায়গায় বসে এমন বেফাস কথা বলে সরকারকে সামনেও বেকায়দায় ফেলার আশঙ্কা রয়েছে বিধায় এখনই চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।।

এ জাতীয় আরো খবর

রাষ্ট্রপতির কাছে নেই হাসিনার পদত্যাগপত্র

পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র নিয়ে উত্তাল রাজনীতির ময়দান। মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি চুপ্পু বলেছেন যে শেখ হাসিনার কোন পদত্যাগ পত্র তার কাছে নেই।