২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১১ জুন, ২০২৫ ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বুধবার
টপ হেডলাইন
🔴৬ নং ক্লাস ২৫ অক্টোবর ২০২৪🔴মেয়র আতিকুল ইসলাম🔴🔴আজহারীকে হয়রানি করার পিছনে মালয়েশিয়ার তামিল পুলিশ?🔴ইসরাইলি সেনাঘাটিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা🔴মেজর বজলুল হুদাকে জবাই করে হত্যা🔴ক্ষমতার গন্ধ পেতে না পেতেই শুরু হয়ে গেছে বিএনপির চাঁদাবাজি।🔴লেবাননকে গাজা ভাবলে ভুল করবে ইসরাইল!🔴মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক রোর্ডমার্চ🔴ভারত : বাংলাদেশে বাঘ, অন্যদেশে বেড়াল🔴মাজার ফাইনাল🔴উপজাতীরা কি আদিবাসী?🔴শায়খ আহমাদুল্লাহ🔴ইরান : দ্বিমুখী চরিত্রের এক দেশ🔴ডিজিটাল চোর জুনায়েদ আহমদ পলক🔴রাষ্ট্রপতির কাছে নেই হাসিনার পদত্যাগপত্র🔴খালেদ মাশাল🔴হারদ্বীপ সিং নিজ্জার🔴ওমান একটি শীর্ষ বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে,🔴ভারতের আগরতলায় রাজনৈতিক সমাবেশের ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ

উপজাতীরা কি আদিবাসী?

চাকমা মারমা সহ বিভিন্ন উপজাতী গোষ্ঠী অনাদিকাল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করছে— বিষয়টি মোটেই এমন নয়। বরং যেই অর্থে তারা বাঙালিদেরকে স্যাটেলার বা দখলদার বলছে, একই অর্থে পাহাড়িরা নিজেরাও সেটেলার বা দখলদার। কারণ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টি উপজাতির সবগুলোই বহিরাগত; এরা কোনোভাবেই এদেশের আদি ভূমিপুত্র নয়। এরা ভারতের সেভেন সিস্টার, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে মাত্র কয়েকশো বছর আগে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। আজকে আমরা প্রমাণ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান কয়েকটি উপজাতির আগমনের ইতিহাস তুলে ধরছি।

(চাকমা)
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর নাম চাকমা। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অভিমত অনুযায়ী, চাকমারা ছিল মূলত মধ্য মিয়ানমারের অধিবাসী। আরেক মত অনুযায়ী চাকমারা ত্রিপুরা রাজ্যেরই কাছাকাছি চম্পকনগর নামের একটি রাজ্যে বাস করত। পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকে এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী এবং তার উপনদীসমূহের উপত্যকা ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে।

(ত্রিপুরা)
ত্রিপুরা উপজাতির নাম থেকেই প্রমাণিত হয়, এরা ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১৬৬১ সালে রাজা গোবিন্দ মানিক্যের অনুসারী ও আত্মীয়-স্বজন প্রতিপক্ষের আক্রমণে টিকতে না পেরে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে আশ্রয় নেন এবং এরপর থেকে তারা এদেশেই বসবাস করছেন।

(মারমা)
মারমা উপজাতির আদি নিবাস সাবেক বার্মা তথা বর্তমান মিয়ানমারে। তাদের একটি অংশ ১৭৭৪ সালে আরাকান থেকে এসে চট্টগ্রাম অঞ্চলের রামু, ঈদঘর, মাতামুহুরী উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। ১৮০৪ সালে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে প্রবেশ করে বসতি স্থাপন করে।

সুগত চাকমা নামে খোদ উপজাতীয় লেখকদের লেখা বইপত্র থেকে এভাবে ইতিহাস যাচাই করে দেখা গেছে, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টি উপজাতির সবগুলোই ভারতের সেভেন সিস্টার এবং মিয়ানমারের আরাকানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করেছে। কাজেই রাষ্ট্রের মূল জনগোষ্ঠী তথা বাঙালী জাতির বিবেচনায় তারা উপজাতি বটে, কিন্তু কোনভাবেই আদিবাসী নয়। কারণ আদিবাসী বলা হয় তাদের, যারা স্মরণকালের দীর্ঘ সময় ধরে কোন জায়গায় বসবাস করে। কাজেই পাহাড়ে বসবাস করা উপজাতীরা যেহেতু মাত্র কয়েকশো বছর আগে এদেশে এসেছে, তাই তারা কোনভাবেই আদিবাসী নয়। অতএব পাহাড়ীরা যেভাবে বাঙালীদের সেটেলার বা দখলদার বলে, সেই অর্থে তারা নিজেরাই সেটেলার। একারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাকমা মারমা সহ উপজাতী গোষ্ঠীগুলো যেহেতু আদিবাসী নয়, কাজেই পাহাড়কে তাদের নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করা এবং বাঙালীদের পাহাড় থেকে সরিয়ে দেয়ার কোন অধিকার উপজাতীদের নেই। বরং বাঙালীদের উপর আক্রমণ করা, পাহাড়কে স্বাধীন জুমল্যান্ড হিসেবে ঘোষণার চেষ্টা করা এবং পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিসহ এই ধরণের কোন কাজ পাহাড়ীরা করলে তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ জাতীয় আরো খবর

উপজাতীরা কি আদিবাসী?

চাকমা মারমা সহ বিভিন্ন উপজাতী গোষ্ঠী অনাদিকাল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করছে— বিষয়টি মোটেই এমন নয়। বরং যেই অর্থে তারা বাঙালিদেরকে স্যাটেলার বা দখলদার বলছে,