বাংলাদেশে বন্যার পানি ছেড়ে ভারত বাঘের হুঙ্কার দিলেও বহির্বিশ্বের সামনে তারা মূলত বিড়াল হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাথে জোর খাটানো ভারতের আসল অবস্থা দেখব আমরা এবারের প্রতিবেদনে।
ভৌগলিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশ তিন দিক থেকেই ভারতবেষ্টিত, এ কারণে ভারত কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পায়। বন্যার পানি ছেড়ে দেওয়া, শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকে রাখা, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া— ইত্যাদি বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুবিধা পেলেও লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এসব সুবিধা ভারতীয়রা নিজ গুণে অর্জন করেনি। বরং ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক কারণে এসব সুবিধা পেয়ে এখন তারা সেগুলোর অপব্যবহার করছে। ভারত এগুলো দিয়ে বাংলাদেশের সামনে বাঘের গর্জন করলেও বাস্তব দুনিয়ার সামনে ভারতের অবস্থান কতটা তলানিতে– আজকে আমরা পয়েন্ট ধরে ধরে তা দেখিয়ে দেব ।
১. চীনের কাছে
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের অনেকেই চীনকে ভারতের বাপ বলে অভিহিত করে থাকেন। ভারতীয়রা হাসিনার দুর্বলতার সুযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে পাখির মত গুলি করে মানুষ মারলেও চীন সীমান্তে তারা এমন কিছু কল্পনাও করতে পারে না। শুধুমাত্র লাদাখ সীমান্তেই ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে চীন। এখন অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাও চীন নিজেদের বলে দাবি করছে। সবমিলিয়ে যা প্রায় বাংলাদেশের আয়তনের সমান। ১৯৬২ সালে দুদেশের প্রথম যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে চীনের কাছে পরাজিত হয়। তখন কাশ্মীরের বড় একটি অংশ (যা আকসাই চীন নামে পরিচিত) এবং বিশাল অরুনাচল প্রদেশ চীন দখল করে নেয়। পরে চীন অনুগ্রহ করে অরুনাচল ফেরত দিয়ে আকসাই চীনকে নিজেদের দখলে রেখে দেয়।
ভারতীয় নায়করা মুভিতে চীনকে হারিয়ে সুপারহিরো সাজলেও বাস্তব সীমান্তে এই হচ্ছে তাদের অবস্থা। চাইনিজদের গুলি করা তো দূরের কথা, ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তের কেবল একটি সংঘর্ষেই চীনা সৈন্যরা পিটিয়ে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করেছে। একারণেই বলা হয়, ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশ সীমান্তে বাঘ, পাকিস্তান সীমান্তে কুকুর আর চীন সীমান্তে বিড়াল।
২. পাকিস্তানের কাছে
শুধু চীন নয়, ভারতের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম পাকিস্তান। সামরিক দিক থেকে প্রচণ্ড শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি ঈমানী জোরের কারণে পাকিস্তানী সৈন্যরা ভারতীয়দের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম।
পাকিস্তানের কাছে ভারতের পরাজয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হচ্ছেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন নামের এই বিমানসেনা। পাকিস্তানে হামলা করতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি ধরা পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে এক কাপ চা দেয়া হলে তিনি ‘‘দি টি ইজ ফ্যান্টাস্টিক’’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। অভিনন্দনের সেই ঘটনা ভারতকে সমস্ত গর্ব এবং অহংকারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।
৩. ভারতীয় ফ্ল্যাগ ফুটবলের জাতীয় দলের ফিনল্যান্ড ভিসা রিজেক্ট
ক্রিকেটের জগতে মোড়ল সেজে বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের উপর ছড়ি ঘোরালেও বাস্তবে ভারতের অবস্থান কোথায়, সেটা এবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য ফ্ল্যাগ ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের ভিসার আবেদন তারা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। এমনকি কেন ভিসা দেয়া হয়নি, সে বিষয়টি জানানোরও তারা প্রয়োজন বোধ করেনি। অর্থাৎ ভারতকে তারা গোণার মধ্যেই ধরেনি। এই ভিসা বাতিলের ফলে ২০২৮ সালে লস এঞ্জেলস অলিম্পিক থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছে ভারতের জাতীয় ফ্ল্যাগ ফুটবল দল। পুরো বিষয়টিকে ভারতীয় ক্রীড়া জগতের জন্য মর্মান্তিক একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
৪. দারিদ্র্যের হার
দারিদ্র্যের হারের দিক থেকে আফ্রিকার অনেক দেশের চাইতেও পিছিয়ে আছে ভারত। দেশটির কোটি কোটি কোটি মানুষ বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এই যুগেও খোলা আকাশের নিচে দলবেধে টয়লেট করে। কিপ্টেমিতেও তারা বিশ্বসেরা। ডিম অর্ধেক দিয়ে বলে দাদা পুরোটা খাবেন কিন্তু! যারা একসাথে দুইশো গ্রামের উপর মাছ কেনে না, আড়াইশো গ্রামের উপর মুরগি কিনে না, তারা নাকি এখন বলছে যে বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাবে না। ভারতে এমনই এক দেশ, যেখানে ৭০ বছরের বুড়ি থেকে শুরু করে কুকুর এমনকি গুইসাপও ধর্ষণের শিকার হয়। এত ভিতু, কৃপণ এবং নিকৃষ্ট যৌনরুচির এই দেশের মানুষ যখন বাংলাদেশে বন্যার পানি ছেড়ে উল্লাস করে, তখন তাদের ওপর বড় করুণা হয়।
এরাই আবার বলে বাংলাদেশে ত্রাণ দেবে না