জোহরান মামদানি : মুসলিম এই ব্যক্তি এখন আমেরিকার রাজনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় নাম। যেই আমেরিকা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে যারা ইরানে হামলা চালিয়েছে সেই আমেরিকার প্রাণকেন্দ্র নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন জোহরান মামদানি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ডেমোক্রেট রাজনীতিবিদ ইতোমধ্যে দলীয় নির্বাচনে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে বিজয় হয়েছেন। তাকে কেন্দ্র করে নেওয়ার সিটির প্রতিটি এলাকায় চলছে ব্যাপক উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা।
…
জোহরানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি স্পষ্টভাষী। নিজের মুসলিম পরিচয় নিয়ে প্রকাশ্যে গর্ব করে থাকেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইল নীতির কট্টর সমালোচক। এমনকি সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, তিনি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যদি নিউইয়র্ক আসে, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসরাইল সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার হৃদপিণ্ডে বসে এমন কথা বলার কলিজা নিয়েই রাজনীতিতে এসেছেন ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি।
…
স্মার্ট, স্পষ্টভাষী, মুসলিম পরিচয়ে গর্বিত আত্মবিশ্বাসে ভরপুর জোহরান মামদানি। শুধু মার্কিনীদের কাছেই নয়, নিউইয়র্কে যে লাখ লাখ বাংলাদেশী, ভারতীয়, পাকিস্তানি, নেপালি এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কৃষ্ঞাঙ্গ ভোটার রয়েছে, তাদের কাছেও প্রচণ্ড জনপ্রিয় তরুণ এই রাজনীতিক। তিনি যেহেতু ভারতীয় বংশোদ্ভূত, সে কারণে ভারতীয়, পাকিস্তানী এবং বাংলাদেশীদের সমর্থন পাবেন, যেহেতু আফ্রিকায় জন্ম, সে কারণে নিউইয়র্কে বাস করা কৃষ্ণাঙ্গদেরও ব্যাপক সমর্থন রয়েছে তার সঙ্গে। ইংরেজি, উর্দূ, হিন্দির পাশাপাশি তিনি বাংলাতে কথা বলেও মন জয় করে নিয়েছেন ভোটারদের।
…
সবমিলিয়ে আমেরিকার বর্তমান কুকর্ম এবং ইসরাইলের প্রতি নির্লজ্জ সমর্থন দেখে সবাই যখন হতাশ হয়ে পড়েছেন, সেই মুহুর্তে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানির এই উত্থান নতুন আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছে। চুড়ান্ত ভোটে বিজয়ী হয়ে জোহরান নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

জোহরান মামদানি : অন্ধকারে আলোর প্রদীপ
জোহরান মামদানি : মুসলিম এই ব্যক্তি এখন আমেরিকার রাজনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় নাম। যেই আমেরিকা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে যারা ইরানে হামলা চালিয়েছে সেই আমেরিকার প্রাণকেন্দ্র